ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১০/০৩/২০২৫ ১০:২২ এএম

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলামের বাসা ভাঙচুর, লুটপাট, দখল ও ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবির মামলায় সমন্বয়ক পরিচয়ধারী মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টিকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ।

রোববার (৯ মার্চ) রাতে শহরের পশ্চিম আকুর-টাকুরপাড়া (হাউজিং) এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানভীর আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তার মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি বাসাইল উপজেলার ফুলকী ইউনিয়নের দোহার জশিহাটী গ্রামের মাজহারুল ইসলামের মেয়ে। তিনি টাঙ্গাইল শহরের আকুর টাকুর পাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।

এর আগে শনিবার (৮ মার্চ) সকালে টাঙ্গাইল শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহেরের ছোটকালীবাড়ির ছয়তলা ভবনের তালা ভেঙে ২০ মানসিক ভারসাম্যহীনকে নিয়ে দখলে নেন মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি। জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে শনিবার রাতে বাড়িটি দখলমুক্ত করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মিষ্টিকে টাঙ্গাইল সদর থানায় আটক করেন। পরে গভীর রাতে মুচলেকা দিয়ে থানা পুলিশের কাছ থেকে মুক্তি পান তিনি।

সাবেক সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলামে স্ত্রী রওশন আরা খান বলেন, মিষ্টি আমার কাছে প্রথমে ১০ কোটি টাকা চাঁদা চেয়েছিল। সেই টাকা না দেওয়ায় তারা বাড়ি জবরদখল করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছি। বাড়িটি আমার নামে, স্বামীর নামে নয়। এ ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করছি।

টাঙ্গাইলের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বেশ কয়েকজন জানান, মিষ্টির কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। মিষ্টির চাঁদাবাজি ও অবৈধ দখল দাড়ির সঙ্গে জড়িত যেই হোক না কেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য জোর দাবি জানাই।

টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানভীর আহমেদ বলেন, রোববার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জোহেরুল ইসলামের স্ত্রী রওশনারা বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় সমন্বয়ক মিষ্টির নামে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় মারিয়ম মোকাদ্দেস মিষ্টিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত